আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jun 12, 2014

পৃথিবীর সেরা ১০ প্রাকৃতিক বিস্ময়

পৃথিবীর সেরা ১০ প্রাকৃতিক বিস্ময়



সৃষ্টি আর ধ্বংস মিলিয়ে আমাদের প্রকৃতি এক অপার বিস্ময়। পৃথিবীজুড়ে থাকা এমন সেরা ১০টি প্রাকৃতিক বিস্ময় তুলে এনেছে দ্য গার্ডিয়ান। আরটিএনএন পাঠকদের কাছেও তা তুলে ধরা হলো।

১.
তাঞ্জানিয়ার গুরুনগুরু খাদটিতে অনেকগুলো হাতি হাঁটছে। ৬১০ মিটার গভীর এই খাদটি ২৬০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। পৃথিবীর দীর্ঘ এই গিরিখাতটিতে বন্য জীবজন্তুর নিরাপদ আবাসস্থল। আবার মাসাইদের পালিত জন্তুদের চারণস্থল।

২.
ইউহোয়া হেই বা পাঁচ ফুলের হ্রদ। চায়নার জিওযাইগন ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত। হ্রদটিতে যেন বিভিন্ন রং খেলা করে। বিভিন্ন প্রাচীন গাছের গুড়িতে পরিপূর্ণ এলাকাটি। লোককথা অনুযায়ী এই বিভিন্ন রংয়ের হ্রদটি তৈরি হয়েছে যখন একজন দেবী তার প্রেমিকের দেয়া আয়নাটি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। ওই আয়নাটি ভেঙে ১০৮ টুকরো হয়ে ১০৮ রংয়ের এই হ্রদটি তৈরি হয়েছে।

৩.
এই দৈত্যাকার পাথরের বাঁধটি উত্তর আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত। দেখে মনে হয় এগুলো কোনো পাথর খোদাইকার দীর্ঘ সময় নিয়ে এই সুন্দর স্থাপত্য তৈরি করেছেন। এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে কেন মানুষ একসময় বিশ্বাস করতো এটা কোনো দৈবশক্তি তৈরি করেছে।

৪.
এই অনুর্বর মালভূমি তুরস্কের কাপাডোসিয়াতে অবস্থিত। এখানে একটি ভূগর্ভস্থ শহর ছিল যেখানে অনেক লম্বা লম্বা চিমনী পাওয়া যায়।

৫.
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের মাঝখানে জাম্বেজি নদীর ওপর অবস্থিত। রাণী ভিক্টোরিয়ার নামে এর নামকরণ করেন অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন। কিন্তু স্থানীয়রা এটাকে ‘মসি ওয়া তুনইয়া’ নামে ডাকে যার অর্থ হচ্ছে ‘যে ধোঁয়া বজ্রধ্বনি করে’। ১০৮ মিটার গভীর এই জলপ্রপাতটি এমন কুয়াশার সৃষ্টি করে যা ২০ কিমি দূর থেকে দেখা যায়।

৬.
ক্যালিফোর্নিয়ার সিকোইয়া ন্যাশনাল পার্কের রেডউড বন। এই জীবিত দৈত্যাকার গাছগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা গাছ। ১০০ মিটারেরও বেশি লম্বা গাছগুলোর গুড়িগুলো প্রায় একটা রাস্তার সমান প্রশস্ত।

৭.
হাওয়াই এ অবস্থিত সবচেয়ে সচল আগ্নেয়গিরী থেকে ধোঁয়ার উদগীরণ হচ্ছে। এটা থেকে প্রায় তিন দশক ধরে উদগীরণ চলছে এবং এটা থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান ভূমি সৃষ্টি হচ্ছে।

৮.
উত্তর-পূর্ব ইথিওপিয়ার দালোল আগ্নেয়গিরি থেকে জন্ম নেয়া এই উপত্যকাটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম উপত্যকা। রেড সি থেকে ৬ হাজার কিমি বিস্তৃত হয়ে পৌছেছে মালাভি হ্রদ পর্যন্ত।

৯.
গ্রান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাত। কোনো কোনো জায়গায় ১.৬ কিমি গভীর আবার ২৯ কিমি প্রশস্ত। এইটার এই প্রকাণ্ডতাই এটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম গিরিখাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে।

১০.
ডেথ ভ্যালী বা মৃত্যু উপত্যকার এই জেবরিস্কি অংশটা পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম অঞ্চল।

No comments :

Post a Comment