আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jun 9, 2014

মোমিনের পালনীয় আমল

মোমিনের পালনীয় আমল


আল্লাহর সামনে নত হওয়া
খেলার মাঠে যাওয়ার সময়ও গাড়িতে বসে কোরআন পড়ছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হাশিম আমলা
দুনিয়ার অন্য কারও সামনে মাথানত করা যাবে না। মাথানত করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সামনে। কেবল তাকেই সিজদা করতে হবে। তার সব বিধিবিধান মেনে নিতে হবে।
আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকা
যে আমার বিল পাস করবে তাকেও সন্তুষ্ট রাখতে হবে। নইলে বিল পাস হবে কীভাবে। সে জন্য আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট রাখা জরুরি। যদি আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকেন বিল পাস হলেও ভালো না হলেও ভালো। এখন হলেও ভালো, কয়েক দিন পরে হলেও ভালো। অবশ্যই এর মধ্যে খায়ের ও বরকত হবে। যদিও বাস্তবে দেখা যায়, তাতে ক্ষতি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার মধ্যেই কামিয়াবি রয়েছে। যেমন কলার খোসা দেখতে পচা মনে হলেও ভেতরে খাবার উপযোগী সুন্দর কলা বিদ্যমান থাকে। আবার বাজার থেকে দেখতে সুন্দর তরতাজা ফলফলাদি, চকচকে মাছ কিনে আনলেন। বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তার দুর্গন্ধে থাকা যায় না। তাহলে বুঝুন খোলা চোখে সব কিছুর ভালো-মন্দ নির্ণয় করা যায় না।
আল্লাহর প্রতি সমর্পিত হওয়া
কেউ কারও দিকে এমনভাবে বন্দুক তাক করেছে যে, বাঁচার কোনো পথ নেই। একদম ব্রাশফায়ার করবে। কিন্তু সে যদি লাফ দিয়ে গিয়ে বন্দুকের নলসহ তাকে জড়িয়ে ফেলে, একদম বুকের সঙ্গে চেপে ধরে, তাহলে কি তার গুলি লাগবে? না, কখনোই লাগতে পারে না। ঠিক তেমনি বান্দা যতই গোনাহ করুক না কেন আল্লাহ তায়ালার দিকে যদি পরিপূর্ণরূপে সমর্পিত হয় তাকে জড়িয়ে ধরে তাহলে আল্লাহও তাকে আপন করে নেন। কেউ তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না।
তোমার কথাবার্তা, কাজ-কর্ম সবক্ষেত্রেই নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে দাও। কীভাবে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করব। আল্লাহ তায়ালাকে কি দেখা যায়? তুমি ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, মজুর-মিনিস্টার যাই হও তোমার ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, চিন্তা-চেতনা সবক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার হুকুমের অধীন হয়ে যাও। তার বিধানগুলো মনে-প্রাণে মেনে নাও তাহলেই আল্লাহকে জড়িয়ে ধরা হবে। নিজেকে পরিপূর্ণ সমর্পণ করা হবে।
আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলপূর্ণ ভরসা
সবক্ষেত্রেই আল্লাহ তায়ালার ওপর তাওয়াক্কুল তথা পূর্ণ ভরসা রাখতে হবে। যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও দিকে মুখ ফিরাও তাহলে তোমার গালেও তেমন আল্লাহর আজাবের জুতার বাড়ি পড়বে। কোনো রক্ষা হবে না।
ধৈর্য-সহনশীলতা
সবশেষ ধৈর্যের কথা। যারা আল্লাহর কাজ করে, তার মনোনীত হতে চায় আল্লাহ তায়ালা তাদের অনেকভাবে পরীক্ষা করেন। বিভিন্নভাবে কষ্ট দেবেন। কখনও জানের ক্ষতি, মালের ক্ষতি, ইজ্জত-আবরুর ক্ষতি ইত্যাদি অনেক মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন। নবীরা আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। সেই প্রিয় বান্দাদেরও তিনি পরীক্ষা করেছেন। নবীদের মানুষ এত কষ্ট দিয়েছে যে, কাউকে জবাই করে ফেলেছে। কাউকে দ্বিখ-িত করেছে। অলি-আউলিয়া, আলেম কেউই কষ্ট থেকে বাদ যাননি। তবে তাদের জন্য সুসংবাদ হলো, তারা যত বিপদেই পড়ুক না কেন, আল্লাহ তায়ালা তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় মুক্ত করে আনবেন। তারাই শেষ সময়ে বিজয়ী হবে। শর্ত হলো, সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তাহলেই আল্লাহ কবুল করবেন। ভালো কাজ করলে নানাজন নানা কথা বলবে। বিরোধিতা করবে। কষ্ট দেবে। তবুও করতে হবে। পিছপা হওয়া যাবে না। তুমি যেমন কাউকে ম্যানেজার বানাতে চাইলে তাকে পরীক্ষা কর। তারপর তাকে ম্যানেজার বানাও। তেমন আল্লাহ তায়ালাও তার চিরস্থায়ী জান্নাত দেয়ার আগে বান্দাকে পরীক্ষা করবেন।
দরকার নেই, তারপরও আল্লাহ পরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছেন, যেন কেয়ামতের দিন কাউকে উত্তম জান্নাত দেয়া হলো, আর কাউকে নিম্নমানের দেয়া হলো তা প্রশ্ন করতে না পারে। কে কত ভালো কাজ করল আর কে কত আনুগত্য করল তার পার্থক্য করা যায়। তাদের মধ্যে সঠিক বিচার হয়। উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া যায়। মূলত সে জন্যই পরীক্ষার ব্যবস্থা।

No comments :

Post a Comment