শিবির দেখলেই মাটির নিচে পুতে ফেলা হবে

ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা-কর্মীকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও দেখতে পেলে তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে মেরে মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে। মতিহারের সবুজ চত্বরকে আর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের রক্তে লাল হতে দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো হলে বা ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে শিবিরকে দেখা মাত্রই তাদের রাজশাহী থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে ছাত্রলীগের দুই নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশে এ নির্দেশ তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও রাজশাহীর নেতা খায়রুজ্জামান লিটন যদি একবার অনুমতি দেয় তাহলে শিবিরকে রাজশাহী ছাড়া করতে কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দরকার হবে না। শিবিরের রাজশাহীর মাটি হারাম করার জন্য ছাত্রলীগই যতেষ্ট।

সমাবেশে তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো পুলিশ থাকার পরেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে তারা বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। মতিহারের সবুজ চত্বর ছাত্রলীগ নেতাদের রক্তে একাধিকবার লাল হলেও বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের সভাপতি। বুধবার সকাল ১১টায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করবে ছাত্রলীগ। এরপর দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ হাসানের বাম পায়ের গোরালী থেকে কেটে আলাদা করে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতা টগর মোহম্মদ সালেহীরও হাত-পায়ের রগ কাটে এবং মাথায় গুরুতর আঘাত করে দুর্বত্তরা। প্রথমে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে অবস্থা গুরুতর দেখে তাদের টাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মতিহার থানা পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ শিবির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে।