জীবনচরিত:
মর্তেজা কাতৌজিয়ান ইরানের মধ্যবিত্ত শিল্পানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ৩ জুলাই, ১৯৪৩ সালে। তিনি শৈশব থেকেই পেইন্টিং পছন্দ করতেন। ছবি আঁকা শিখেছেন নিজে নিজে। ছিলো না কোন শিক্ষক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
মর্তেজা কাতৌজিয়ান ইরানের মধ্যবিত্ত শিল্পানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ৩ জুলাই, ১৯৪৩ সালে। তিনি শৈশব থেকেই পেইন্টিং পছন্দ করতেন। ছবি আঁকা শিখেছেন নিজে নিজে। ছিলো না কোন শিক্ষক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
১৯৬০ সালে পেশা হিসেবেই গ্রাফিকস ও পেইন্টিংসের কাজ শুরু করেন। তিনি অনেক বইয়ের কভার, লগো, পোস্টার তৈরি করেছেন। ১৯৭৪ সালে আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠান আই. এ. এ. এর স্পন্সরে তেহরানে আয়োজিত “African Starvelings” শীর্ষক এক প্রদর্শনীর দায়িত্ব পান তিনি। সেখানে তার আঁকা পোস্টার জিতে নেয় পুরস্কার। ইরানের গ্রাফিকস আর্টিস্ট সিন্ডিকেটের তিনিও একজন প্রতিষ্ঠাতা। বহু প্রদর্শনীতে তাঁর আঁকা ছবি অংশ নিয়েছে। একক প্রদর্শনীও হয়েছে ৪ টি। তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শনীতে ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভিজিটর আসে।
যৌবনে তিনি তাঁর অবসর সময় কাটিয়েছেন খেলাধূলায়। জেনে অবাক হবেন এই শিল্পী কারাতে ব্ল্যাকবেল্ট ধারী। ইরানের প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯৭০ সালে কারাতে ব্ল্যাকবেল্ট অর্জন করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন আর্ট একাডেমী ও আর্ট স্টুডিও। তাঁর প্রতিষ্ঠিত একাডেমী থেকে তৈরি হয়েছে অসংখ্য মেধাবী চিত্রকর। আর অসাধারণ সব ছবি আঁকা হয়েছে তাঁর স্টুডিওতে।
পুরস্কার: পেইন্টার হিসেবে ৫০ বছরের চমৎকার কর্মময় জীবনকে সম্মান জানাতে ইউনেস্কো মর্তেজা কাতৌজিয়ানকে পুরস্কারে ভূষিত করে। এ ছাড়াও তিনি বহু জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পুরস্কার লাভ করেন।
No comments :
Post a Comment