আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jul 8, 2014

ইরানের বিপ্লবী এক চিত্রকর- মর্তেজা কাতৌজিয়ান

কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই শুধু মাত্র শিল্পের প্রতি ভালোবাসা থেকে ইরানের চিত্রকলাকে যিনি দিয়েছেন ভিন্ন রকম মাত্রা, তিনি মর্তেজা কাতৌজিয়ান। ইরানের তরুণদের মাঝে শিল্পকলার যে বীজ তিনি বুনে দিয়েছেন, তা এখন মহীরুহ হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে ইরানের মাত্রা ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে। মর্তেজা কাতৌজিয়ানের গড়ে তোলা আর্ট একাডেমীতে আঁকতে শিখে চমৎকার সব ছবি এঁকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ চিত্রকররা। রিয়ালিস্ট চিত্রকর মর্তেজা কাতৌজিয়ান তাঁর আঁকা ছবিতে তুলে ধরেছেন ইরানের টুকরো টুকরো জীবন। তাঁর বৈচিত্রপূর্ণ জীবন এবং দীর্ঘ শিল্প সংগ্রামে গড়ে তোলা ব্যক্তিত্ব প্রভাবিত করেছে অসংখ্য ইরানি তরুণ চিত্রকরদের। তাঁর ছবির সাথে আপনাদেরকে আগেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম।

জীবনচরিত:
মর্তেজা কাতৌজিয়ান ইরানের মধ্যবিত্ত শিল্পানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ৩ জুলাই, ১৯৪৩ সালে। তিনি শৈশব থেকেই পেইন্টিং পছন্দ করতেন। ছবি আঁকা শিখেছেন নিজে নিজে। ছিলো না কোন শিক্ষক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
১৯৬০ সালে পেশা হিসেবেই গ্রাফিকস ও পেইন্টিংসের কাজ শুরু করেন। তিনি অনেক বইয়ের কভার, লগো, পোস্টার তৈরি করেছেন। ১৯৭৪ সালে আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠান আই. এ. এ. এর স্পন্সরে তেহরানে আয়োজিত “African Starvelings” শীর্ষক এক প্রদর্শনীর দায়িত্ব পান তিনি। সেখানে তার আঁকা পোস্টার জিতে নেয় পুরস্কার। ইরানের গ্রাফিকস আর্টিস্ট সিন্ডিকেটের তিনিও একজন প্রতিষ্ঠাতা। বহু প্রদর্শনীতে তাঁর আঁকা ছবি অংশ নিয়েছে। একক প্রদর্শনীও হয়েছে ৪ টি। তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শনীতে ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভিজিটর আসে।
যৌবনে তিনি তাঁর অবসর সময় কাটিয়েছেন খেলাধূলায়। জেনে অবাক হবেন এই শিল্পী কারাতে ব্ল্যাকবেল্ট ধারী। ইরানের প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯৭০ সালে কারাতে ব্ল্যাকবেল্ট অর্জন করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন আর্ট একাডেমী ও আর্ট স্টুডিও। তাঁর প্রতিষ্ঠিত একাডেমী থেকে তৈরি হয়েছে অসংখ্য মেধাবী চিত্রকর। আর অসাধারণ সব ছবি আঁকা হয়েছে তাঁর স্টুডিওতে।
পুরস্কার: পেইন্টার হিসেবে ৫০ বছরের চমৎকার কর্মময় জীবনকে সম্মান জানাতে ইউনেস্কো মর্তেজা কাতৌজিয়ানকে পুরস্কারে ভূষিত করে। এ ছাড়াও তিনি বহু জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পুরস্কার লাভ করেন।

No comments :

Post a Comment