আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jul 21, 2014

ভুলের প্রভাব কমিয়ে আনতে যে ছয়টি কাজ করতে হবে


অ-অ+

অনেকেই কোনো একটি ভুল করে সে জন্য নেতিবাচক অনুভূতি ও অনুশোচনায় ভোগেন। এতে নতুন করে কাজের আগ্রহও কমে যায়। আর এ অনুভূতি দূর করাটা অনেকের জন্যই কঠিন কাজ। এ লেখায় থাকছে এ ধরনের নেতিবাচক প্রভাব দূর করার ছয়টি উপায়।
১. একটু হাসি দিন
কোনো ভুলের খেসারত যদি হাসি দিয়ে কমিয়ে ফেলা যায়, তাহলে তা মন্দ হয় না। অন্যের চোখে ভুলের ওজনও এতে কমে যেতে পারে। আর এতে আপনার রসবোধকে কাজে লাগিয়ে অনুশোচনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। নিজেকে নির্বোধ, বোকা কিংবা অকর্মা আখ্যা দেওয়ার পরিবর্তে একবার হেসে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

২. ছুড়ে ফেলে দিন
আপনি যদি কোনো বিরক্তিকর প্রকল্পে আটকে যান আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় না দেখেন তাহলে তা পুরোপুরি ছুঁড়ে ফেলে দিন! এরপর নতুন করে শুরু করলে অনেক তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভয় বা খুবই বিরক্তিকর কোনো বিষয়ে যদি আপনি আটকে যান, তাহলে সে বিষয়টি কাগজে লিখে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। আর এতেই অনেকখানি পরিষ্কার হবে বিষয়টি। মানসিকভাবেও অনেকটা সুস্থ বোধ হবে।
৩. আলোচনা করুন
আলোচনার মাধ্যমে বহু সমস্যা হালকা হয়ে আসে। ২০০৭ সালের এক গবেষণাতেও এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। কোনো ভুল করার পর আপনি সে বিষয়ে একজন বন্ধু, পরিবারের সদস্য কিংবা থেরাপিস্ট- যার সঙ্গেই আলোচনা করুন না কেন, এতে আপনার যন্ত্রণা বা অনুশোচনা অনেক কমে যাবে।
ভুলের প্রভাব কমিয়ে আনতে যে ছয়টি কাজ করতে হবে

৪. সহনশীলতার চর্চা করুন
শত ভুলের পরেও সহনশীলতা চর্চা করে মানসিক প্রশান্তি আনা যায়। সহনশীলতা চর্চার নানা উপায় আছে। এর মধ্যে থাকতে পারে মেডিটেশন। এ ছাড়া ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিজের মনেও নানা প্রবোধ দিতে হবে।
৫. নিজের কাজ কমিয়ে ফেলুন
অনেক সময় একটি কাজের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক কাজ আপনার কর্মক্ষেত্রে বাড়তি চাপ ও সমস্যা তৈরি করতে পারে। ছোটখাট ও কম গুরুত্বপূর্ণ অন্য কাজগুলো কমিয়ে ফেললে এ চাপ কম অনুভূত হবে। আর তাতে মনটাও অনেক হালকা হবে।
৬. অনুভূতি ইতিবাচক কাজে লাগান
আপনার নেতিবাচক অনুভূতি যদি ইতিবাচক কোনো কাজে লাগানো সম্ভব হয় তাহলে তা থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, অনুশোচনায় ভোগা মানুষ কাজের দিক দিয়ে ভালো হয় এবং সামাজিক আচরণের দিক দিয়েও ইতিবাচক হয়। আর অনুভূতিকে যদি ঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয় তাহলে তা জীবনের উজ্জ্বল দিককে উন্মোচন করতে সহায়ক হবে।

No comments :

Post a Comment