আগামী এক দশকের মধ্যে রাস্তায় টহল দিবে সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের ‘রোবোকপ’ জাতীয় পুলিশ। তবে একই সঙ্গে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন সেনা, শ্রমিক এবং নভোচারীরা।
জরিপে অংশ গ্রহণকারীদের ৪৫ শতাংশই মনে করেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সেনাদের স্থলাভিষিক্ত হবে যন্ত্রমানব বা রোবট। একই ভাবে ৩৩ শতাংশ মনে করেন কারখানা শ্রমিকদের স্থান দখল করবে রোবট। ৩৩ শতাংশ মনে করেন কর্মক্ষেত্রে যন্ত্রমানব নিয়োগের কারণে একই পরিণতি ভোগ করবেন নভোচারীরাও। এমনকি পাচক বা বাবুর্চির চাকরিও রোবট দখল করে নেবে বলে মনে করেন ৪ শতাংশ।
এ ছাড়া, যন্ত্রমানব নিয়ে আশংকা যাই থাক না, স্বচালিত বা রোবট চালিত গাড়ি খুশি মনে কেনার কথা ব্যক্ত করেছেন এ জরিপে অংশ গ্রহণকারী ২৯ শতাংশ ব্যক্তি। আর ১০ শতাংশ মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সমৃদ্ধ রোবট আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই থাকবে এবং ঘরের দৈনন্দিন কাজ সামাল দিবে।
ভবিষ্যতে যন্ত্রমানব বা রোবটের মানবিক আবেগ অনুভূতি থাকবে বলেও মনে করছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের এক চতুর্থাংশেরও বেশি।
প্রযুক্তির বিকাশ অতিদ্রুত ঘটছে এবং আমাদের পরিচিত জীবন ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তনের মুখে পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আর অতি বুদ্ধিমান যন্ত্রমানব তৈরির পরিণাম শেষ পর্যন্ত মানুষের জন্য শুভ নাও হতে পারে বলে কেউ কেউ আশংকা ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, ভাগ্য ভাল থাকলে মানুষের তুলনায় অতি বুদ্ধিমান যন্ত্রমানব বা রোবট মানব জাতির আনুগত্য মেনে নিতে পারে। আর তা না হলে সমুহ বিপদ। মানুষ এখন হাঁস-মুরগির সঙ্গে যে আচরণ করে মানবজাতির সঙ্গে যন্ত্রমানবও একই আচরণ হয়ত করবে। #
No comments :
Post a Comment