আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jan 2, 2019

সাক্ষাৎকারে প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী


সাক্ষাৎকারে প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী

ইন্টারভিউ একজনের পর একজনের হতে পারে আবার কয়েকজনের সমন্বয়ে একটা প্যানেল সাক্ষাৎকারও হতে পারে। তাই আপনাকে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্ততি নিতে হবে।  

ইন্টারভিউ এর সময় নিয়োগদাতা আপনার জীবন বৃত্তান্ত এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইবেন। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি কোম্পানীর জন্য নিজের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পারেন।

সাক্ষাৎকারের শেষ পর্যায়ে নিয়োগদাতা আপনাকে আর কিছু বলার আছে কিনা তা জানতে চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে পূর্বে বাদ পড়েছে এমন বিষয় আলোচনা করে নিতে পারেন। সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ কী হবে তা খুঁজে বের করবেন এবং সবশেষে নিয়োগদাতাকে তার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাবেন।

আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন। আপনার বক্তব্যে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের চাইতে চাকরির দক্ষতা যেন বেশী প্রাধান্য পায়। আপনার ক্যারিয়ারের বিকাশ সর্ম্পকে বলুন। পূর্ব চাকুরির অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখেছেন বা চাকরি বহিভূর্ত স্বপ্রণোদিত কর্মকান্ডর মাধ্যমে অর্জিত সাংগঠনিক    দক্ষতা, সময় ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করুন।

আপনার সামর্থ কী ? কোন সমস্যার সুন্দর সমাধানের জন্য আপনি আপনার সামর্থ নিয়ে কথাবলতে পারেন। কিছু উদাহরন রপ্ত করুন যা প্রশ্ন উত্তরে সাহায্য করবে।  
আপনার দূর্বলতা কী ? এটা খুব কঠিন প্রশ্ন, যদিও সবসময় এটা জিজ্ঞেস করা হয় না। কিন্ত এ জাতীয় প্রশ্নের জন্য আপনাকে প্রস্তত থাকতে হবে। আপনি যদি আপনার মেজাজ, অলসতা বা ধৈর্য্যের দুর্বলতা নিজের ভিতরে রাখুন এবং তা অন্যের নিকট প্রকাশ করবেন না।

চাকরিদাতা তার কোম্পানী সর্ম্পকে আপনার কোন প্রশ্ন আছে কি না তা জানতে চাইতে পারে। তাই এই বিষয়েও প্রস্ততি থাকতে হবে। আপনি কোম্পানীর প্রকৃতি, সাংগঠনিক কাঠামো অথবা উৎপাদিত পন্য সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন। আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন কোম্পানীর প্রশিক্ষন কর্মসূচী অথবা কাজের পরিবেশ সম্পর্কে।  

১০ বছর পর আপনার পেশার অবস্থান কোথায় হবে ? এইরূপ প্রশ্নের উত্তরে এখানে খুব সাবধান থাকতে হবে। আপনার এমন মনোভাব থাকবে না যে, আপনি শুধুমাত্র ব্যবহৃত হচ্ছেন কোম্পানী বা অন্যের পেশার উন্নতি হিসেবে।নিজেকে কোম্পানীর ব্যবস্থাপক হিসেবে চিন্তা করে কোম্পানীর স্বার্থে কাজ করতে হবে। এখানে বলা যায় যে একজন তরুণ হিসাবরক্ষককে CPA Firm এর সাথে সাক্ষাৎকারের সময় এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছিলেন তিনি নিজেকে বড় কর্পোরেশনের মহা-হিসাবরক্ষক হিসেবে দেখেন। তার প্রশ্নের উত্তর অন্যভাবে বলা যায় প্রতিষ্ঠান তাকে প্রশিক্ষন ও সুযোগ দানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করবে এবং সে চাকরি ছেড়ে দেবে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে।

এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না তাকে চাকররি জন্য ডাকা হয়নি। প্রতিষ্ঠান জানে ৭৫% লোক আসে ১০ বছরের মধ্যে অন্যত্র সরে যেতে, কিন্ত প্রতিষ্ঠান চায় না কেউ চলে যাক।
আপনার এমন দক্ষতা কি আছে যে, চাকরিদাতা কোম্পানী লাভবান হবে ? আপনি আপনার কি দক্ষতা উল্লেখ করতে পারেন যা যে কোন কোম্পানীর জন্য মূল্যবান। উদাহরনস্বরূপ : (১) দীর্ঘমেয়াদী Project পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সামর্থ্য (২) তথ্যবহুল উপাত্ত সংগঠিত করার সামর্থ্য (৩) জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সামর্থ্য অথবা দলের ভিতরে থেকে কাজ করার সামর্থ্য। যদি আপনার দক্ষতা কোন নির্দিষ্ট জন্য সঠিক না হয়, তবে উল্লেখ করতে হবে অন্য অবস্থানে থেকেও দ্রুত এগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে পারেন বা শিখতে পারেন কিনা। আবার নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে নিয়েও নিজেকে প্রস্তত করতে পারেন।
 
পূর্বের চাকরি আপনি কেন ছেড়েছিলেন ? প্রথমেই প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করবেন না। যেমন কথায় কথায় অভিযুত্ত করা হয় বা সে প্রাক্তন প্রতিষ্ঠানটি আশাপ্রদ অবস্থায় ছিল না। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলেও প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে না। আপনি কথা বলতে পারেন প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতার অভাব নিয়ে। বলতে পারেন, আপনার কাজের দায়িত্ব, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য এর সাথে সামঞ্জস্য ছিল না।

আপনার প্রয়োজন আরো প্রতিশ্রুতিশীল চাকরি অথবা অন্যকিছু যা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ববিরোধী নয়। যদি কোন কারনে চাকরি চলে যায়, তবে আপনি অবশ্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা বলবেন। যাই হোক মিথ্যা বলবেন না। আপনি যদি প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু বলতে নাও চান তবে কিছুই না বলাই ভালো।
Read more ...

যেসব খাবারে ভাল ঘুম হয়


যেসব খাবারে ভালো ঘুম হয়

বিভিন্ন সময় একটু-আধটু অনিদ্রায় ভোগেননি এমন লোকের সংখ্যা খুবেই কম। রাতে ভালো ঘুম না হলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। পুরো দিনটাই বরবাদ হয়ে যায়। তবে খাবার খেয়েই এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যায়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে রাতে ভালো ঘুম আসে। ওয়ান নিউজ বিডি পাঠকদের জন্য কিছু কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো যেগুলো ঘুমের জন্য খুবই কার্যকর।

কলা : গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ঘুমের আগে কলা খেলে ভালো ঘুম হয়। এমনকি রাতে হেঁচকি ও দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে না। কলায় আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, মিনারেল যেটা শরীরকে প্রশান্ত করে। ফলে রাতে ভালো ঘুম হয়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্লিপিং পিল না খেয়ে একটি কলা খান।

চেরি ফল: খাদ্য ও পুষ্টি গবেষকগণ গবেষণায় দেখেছেন চেরিতে আছে মেলাটোনিন। যা কিনা ঘুম আসতে সাহায্য করে। যাদের অনিদ্রা রোগ রয়েছে তাদের জন্য আদর্শ খাবার চেরি। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে টপাটপ গোটাকয় চেরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।

তিসির বীজ : তিসির বীজে রয়েছে উচ্চমাত্রার সেরোটোনিন ও ওমেগা-৩ যা কিনা ঘুম উদ্রেককারী। ওমেগা-৩ মানসিক চাপ ও চিন্তামুক্ত করে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। যাদের অনিদ্রা আছে তারা রাতে ঘুমানোর আগে তিসির বীজ দিয়ে সরবত বানিয়ে খেতে পারেন।

দুগ্ধজাত খাবার : গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাদের ঘুমের সমস্যা হয়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ কিংবা এক কাপ দই খেয়ে ঘুমাতে যান।
যব : যব ট্রাইপোটোফ্যানের ভালো উৎস। ট্রাইপোটোফ্যান শরীরকে প্রশান্ত করে ভালো ঘুম আসতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এক বাটি যব খান। এরপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ুন।
Read more ...

Dec 23, 2018

চাকরী খোঁজার সময় যে ৫টি ভুল করবেন না


চাকরী খোঁজার সময় যে ৫টি ভুল কখনোই করবেন না!

প্রতিনিয়ত আমরা ছুটে চলেছি ক্যারিয়ারের উন্নতির পেছনে। চাকরী খোঁজার সময় নানা ধরনের উপদেশ ও পরামর্শ আপনি পেয়ে থাকবেন আর এটাই স্বাভাবিক। আপনার সিভি হতে পারে ১ পৃষ্ঠার চেয়ে বেশি আর সেই সাথে নেটওয়ার্কিং-এরও গুরুত্ব আছে। আপনাকে সচেতন থাকতে হবে সিভি ও কভার লেটারের ব্যাপারে, খেয়াল রাখতে হবে বর্তমান চাকরীর ট্রেন্ডের দিকেও। কিন্তু এমন কিছু কাজ হয়তো আপনি নানা মানুষের পরামর্শে করে থাকেন যেগুলো আসলে চাকরীর বাজারে আপনাকে করে তোলে বিরক্তিকর এক চরিত্র।

এমনই ৫ টি বিষয়ের ব্যাপারে জেনে রাখুন ও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুনঃ
১) জীবনের প্রতিটি চাকরীর অভিজ্ঞতা সিভিতে সংযুক্ত করাঃ
সিভি আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রতিফলন ঘটায়। চাকরীদাতা আপনার সিভিতে আপনি তাদের কোম্পানীর পদের সাথে যুক্ত কাজে অভিজ্ঞ কিনা সেটিই জানার চেষ্টা করেন। তাই চেষ্টা করুন অযথা সব রকম অভিজ্ঞতা যুক্ত করে সিভিকে অযথা লম্বা না বানাবার। যদি এনজিও তে আবেদন করেন, তবে সেখানে কবে কোথায় মার্কেটিং এর চাকরী করেছিলেন তা উল্লেখ করতে যাবেন না। সচেতন থাকুন।

২) সবকিছুর জন্যে আবেদন করাঃ
সব কিছুর জন্যে আবেদন করা থেকে বিরত থাকুন। যে চাকরী পেলেও আপনি কখনো যাবেন না, অযথা সেখানে আবেদন করে নিজের সম্পর্কে ওই কোম্পানীর কাছে একটি খারাপ ইমেজ তৈরী করতে যাবেন না। যেখানে আপনি আসলেই ইচ্ছুক ও চাকরী করতে পারবেন, সেখানেই আবেদন করুন।

৩) একই কভার লেটার সব জায়গায় নয়ঃ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদের জন্যে একই সাধারন কভার লেটার পাঠানো থেকে বিরত থাকুন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য উদ্দেশ্য আলাদা হয়। তাই এটি খেয়াল রেখেই বিভিন্ন পদের জন্যে আলাদা আলাদা কভার লেটার লিখুন। এটি আপনার যোগ্যতা প্রমাণের অন্যতম ধাপ।

৪) একটি চাকরীতে কমপক্ষে ১ বছর থাকুনঃ
একটি চাকরীর পরিবেশ, বেতন বা অন্যকিছু আপনার যতই খারাপ লাগুক না কেন, চেষ্টা করুন সেখানে কমপক্ষে ১ বছর থাকতে। কেননা চাকরিদাতা যখন দেখবেন, আপনি ঘন ঘন আর কম সময়ের মেয়াদেই চাকরি পরিবর্তন করছেন, তখন আপনি তার কাছে স্থায়িত্বের দিক থেকে আস্থা হারাবেন।

৫) অতিরিক্ত বেতন চাইবেন নাঃ
যদি চাকরীর বিজ্ঞাপনে বেতন নির্ধারিত করে দেয়া থাকে তবে অযথা সিভিতে বা ইন্টারভিউ বোর্ডে অতিরিক্ত বেতন চাইতে যাবেন না। এই বেতনে আপনার চলবে কিনা সেটা আবেদনের আগেই ভেবে নিন। অযথা বিরক্তিকর চরিত্রে পরিণত হবেন না।

নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো একটি চাকরীর প্রত্যাশা কার না থাকে! আর সেই লক্ষ্যে আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে আপনার সচেতন কিছু পদক্ষেপ। কিছু ভুল এড়িয়ে চলুন, ক্যারিয়ারে সাফল্যই আপনার পিছু নেবে।
Read more ...

Aug 13, 2017

প্রথম চাকরি: কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

চাকরির বাজারে আজকাল চাকরিদাতারা শুরুতেই খোঁজেন অভিজ্ঞতা। কিন্তু হতেই পারে আপনি সদ্য স্নাতক করেছেন, জীবনের প্রথম চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যদি তেমন কিছু না থাকে, কোথাও সিভি পাঠানোটা কখনো কখনো আপনার কাছে অর্থহীন মনে হতে পারে। আপনাকে পেয়ে বসতে পারে হতাশা। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সেই আশ্বাস দিচ্ছেন ফিঙ্গারপেইন্ট নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি মার্কেটিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এড মিটজেন। সহস্রাধিক মানুষকে চাকরি দেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে এড মিটজেন বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন।
স্নাতক পেরোনোর এক মাস যেতে না যেতেই অনেকে একটা কাজের জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন। হতাশ কিংবা অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই। বরং বিশ্বাস রাখুন। লেগে থাকুন। চেষ্টা করে যান। একটু সময় লাগতে পারে, সেটা স্বাভাবিক।
২. প্রত্যাখ্যাত হওয়াটাও এ প্রক্রিয়ারই অংশ
সিভি দেবেন, ইন্টারভিউ দেবেন, কয়েকটা জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাতও হবেন—এটা ‘পার্ট অব দ্য গেম’। অন্য আরও অনেক কিছুর মতো চাকরির আবেদন করাও একটা চর্চার বিষয়। বারবার আবেদন করতে করতেই আপনি আপনার দুর্বলতা ও শক্তির জায়গাগুলো জানবেন। ভুলগুলো শোধরানোর সুযোগ পাবেন।
৩. কাজটা নয়, কাজের ক্ষেত্রটাই হোক লক্ষ্য
আপনি একটা প্রতিষ্ঠানের যে পদে কাজ করতে চান, শুরুতেই হয়তো আপনাকে কেউ সেই কাজটা দেবে না। আগে ঠিক করুন, কোন ক্ষেত্রটাতে আপনি ক্যারিয়ার গড়তে চান। শুরুটা না-হয় একটু ছোট পদ থেকেই হলো, তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আগে তো দরজায় পা রাখা হোক, ওপরে ওঠার সিঁড়িটা না-হয় তারপর তৈরি করে নেওয়া যাবে। কাজ শুরু করলে লোকজনের সঙ্গে আপনার পরিচয় হবে, নিজের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ হবে। এই সুযোগ হারাবেন না।
৪. টাকা যেন আপনার ‘ফোকাস’ না হয়
পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, ঋণ শোধ করতে হবে...এসব চাপ আপনাকে পীড়া দিতে পারে। কিন্তু শুরুতে শুধু উপার্জন করাই যেন আপনার লক্ষ্য না হয়। চাকরিদাতারা তো আপনার সামর্থ্য যাচাই করবেনই, আপনার নিজেকেও নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে জানতে হবে। প্রথমে তাই অভিজ্ঞতার ঝুলিটা ভারী করার দিকে মনোযোগ দিন।
৫. ‘রিসার্চ’ করুন
স্নাতক শেষ করেই সিভি পাঠানো শুরু করবেন না। আগে বর্তমান বাজার আর আপনার লক্ষ্য মাথায় রেখে ‘রিসার্চ’ করুন। পড়ুন, জানুন। আপনি যেখানে কাজ করতে চান, সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো করে জানুন। চাকরির ইন্টারভিউতেও আপনাকে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হতে পারে। একটা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে ইন্টারভিউতে হাজির হওয়াটা খুব বোকার মতো কাজ।
৬. বেতন, ছুটি, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে খুব দ্রুতই জানতে চাইবেন না
প্রথম চাকরির ক্ষেত্রে আলাপের প্রারম্ভেই বেতন, ছুটি, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করা ঠিক হবে না। প্রথমে নিশ্চিত হোন চাকরিদাতা আপনার ব্যাপারে আগ্রহী কি না। যদি আপনি নির্বাচিত হোন, তারপর এসব নিয়ে প্রশ্ন করুন।
৭. আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী হোন
চাকরিদাতারা প্রার্থীর চোখে আত্মবিশ্বাস খোঁজেন। আপনাকে দেখে যেন মনে না হয়—চাকরি খুঁজতে খুঁজতে আপনি ক্লান্ত, হতাশ; একটা চাকরি না হলে আপনার চলছেই না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ‘হ্যান্ডশেক’ করুন। অন্যমনস্ক হবেন না। আপনার শরীরী ভাষাতেই যেন আপনার শক্তিটা টের পাওয়া যায়। আপনাকে দেখে যেন মনে হয়, আপনি সময়টা উপভোগ করছেন।
৮. আপনার অভিজ্ঞতা নেই, এটা সহজভাবে নিন
আপনার ইন্টারভিউ যিনি নেবেন, তিনিও একসময় অনভিজ্ঞ ছিলেন। কাজ করতে করতেই হয়তো অভিজ্ঞ হয়েছেন। আপনার কাজের অভিজ্ঞতা নেই, সেটা আপনার ‘অপরাধ’ নয়। অতএব, ব্যাপারটা সহজভাবে নিন। অন্য প্রার্থীরা কতখানি অভিজ্ঞ, সেসব নিয়ে ভাববেন না। ভাবুন, আপনি কীভাবে অবদান রাখতে পারেন? সিভিতে আপনার ছোটখাটো যোগ্যতাগুলোও লিখুন। হতে পারে আপনি জাদু দেখাতে পারেন বা আপনি ছবি আঁকতে পারেন। কাজের সঙ্গে এসবের সম্পর্ক না থাকুক, তবু আপনার সামর্থ্যের কথা লিখুন।
৯. সুপারিশের অপেক্ষায় থাকবেন না
প্রথম চাকরি কারও সুপারিশে না হওয়াই ভালো। প্রথম চাকরি হোক আপনার নিজের যোগ্যতায়। এতে আত্মবিশ্বাস পাবেন। আপনার পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের কেউ হয়তো কোনো প্রতিষ্ঠানে বড় পদে আছেন। এই ‘সুযোগ’ কাজে না লাগানোই ভালো। হতে পারে অন্য প্রার্থীদের কেউ আপনার চেয়েও যোগ্য; কিন্তু সুপারিশের জোরে আপনি চাকরিটা পেয়ে গেলেন। এটা অনেকটা নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার মতো।
১০. আগ্রহ প্রকাশ করুন
কাজটা করার জন্য যাঁরা আগ্রহী, যাঁদের মধ্যে ‘প্যাশন’ আছে; চাকরিদাতারা তাঁদেরই পছন্দ করেন। যে কাজের জন্য আপনি আবেদন করছেন, সেই কাজের ক্ষেত্রটির প্রতি আপনার আগ্রহটা চাকরিদাতাকে বুঝিয়ে দিন।
Read more ...

Aug 10, 2017

গর্ভবতী নারীর যত্নে জেনে রাখুন এই তথ্যগুলো

মডেল: সাথী, ছবি: নূর, প্রিয়.কম
র্ভধারণ করা কিংবা মা হতে চলা প্রত্যেক নারীর জীবনে একটি অপূর্ব ব্যাপার। বাইরে থেকে দেখতে যতোটা গোছানো মনে হয়, ভেতরে ভেতরে একজন নারী যথেষ্ট যন্ত্রণার মাঝে থাকেন এ সময়। স্বামী কিংবা সঙ্গী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যথেষ্ট সাহায্য ও সহমর্মিতার প্রয়োজন হয় একজন নারীর। চলুন জেনে আসা যাক এমন কিছু টিপসের ব্যাপারে যেগুলো আপনি আপনার গর্ভবতী স্ত্রী কিংবা বন্ধু ও আত্মীয়দের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন।
শরীরের আকৃতি পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর দেহের আকার পরিবর্তিত হবে এটিই স্বাভাবিক যেহেতু তিনি একজন শিশুকে বহন করছেন। এহেন অবস্থায় কখনো তাকে কটাক্ষ কিংবা উপহাস করবেন না। বরং তাকে ভালোবাসুন ও প্রশংসা করুন। 
ভুলে যাওয়ার অভ্যাস
গর্ভধারণ করলে একজন নারীর ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শান্ত ব্যবহার করুন তার সাথে। একবার সন্তান জন্মলাভের পর তিনি আবার আগের হালে ফেরত আসবেন। ভরসা রাখুন। 
বদলে যাওয়া হরমোনকে কোন ইস্যু বানাবেন না
একজন গর্ভবতী নারী অল্পতেই আবেগী হয়ে যান। এটি হরমোনের কারণে। আপনি এবং তিনি কিন্তু সেটা ভালো করেই জানেন। সুতরাং, এটিকে আলোচনার বিষয়বস্তু বানানোর কোন দরকার নেই। বরং তিনি যেমনই বোধ করছেন, তার সাথে সায় দিন।
তিনিই সঠিক
জীবনের এ পর্যায়ে তর্ক ও ঝগড়া থেকে দূরে থাকাই সমীচীন। তিনি যে মতামতই দেন না কেন, সেটির সঙ্গে সম্মতি প্রদান করুন। যদি আপনি সম্মত না-ও হয়ে থাকেন, নম্রভাবে বিষয়টি বোঝান। তর্কাতর্কির কোন দরকার নেই।
তিনি ভীত
গর্ভাবস্থায় একজন নারী প্রতিটা মুহূর্ত অজানা কোন কারণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকেন। তাকে সামলে রাখুন। কোন রকম আঘাত ও ভয় পাচ্ছেন কী না, খেয়াল রাখুন। যেকোন নেতিবাচক ছবি, গল্প, বই এমনকি মানুষ থেকেও দূরে রাখুন।
তার কথা শুনুন
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে যেকোন সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে তার অনুরোধ মানুন। তিনি যখনই অসুস্থ বোধ করবেন, চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ইতস্তত বোধ করার কিংবা দেরি করার কোন অবকাশ রাখবেন না।
তিনি যা-ই চাচ্ছেন, তা-ই খেতে দিন 
একজন গর্ভবতী মহিলার ঘন ঘন খাবারের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে তাকে ভালোমত খেতে দিন। বার বার করে হালকা স্ন্যাক এবং নাস্তা দিন। বেশি করে ফল এবং সব্জি খাওয়ান। কোনভাবেই তাকে অভুক্ত রাখা যাবে না। 
শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন
জ্বি, এ সময়টাতেই আপনাকে ধৈর্য পরীক্ষা দিতে হতে পারে। তার অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক বা প্রলুব্ধকরণ থেকে বিরত থাকুন। তাকে নিজের মতো থাকতে দিন এবং সাধ্যমত তার যত্ন নিন। 
স্পর্শকাতর অঙ্গ বারবার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর স্তনযুগল বড় আকার ধারণ করে। তার মানে এই না আপনি তাকে বারবার বিরক্ত করবেন। আবারো বলছি, তাকে তার মতো থাকতে দিন। তাহলেই সবখানে শান্তি বজায় থাকবে।
আপনাকে এখন তার প্রয়োজন নেই, তাকে বালিশে ঘুমোতে দিন
একজন গর্ভবতী নারীর সঙ্গী বা স্বামীকে যতোটুকু প্রয়োজন, তার চাইতেও তার প্রয়োজন এখন বালিশ এবং অনেক আরাম। তাকে আরাম করতে এবং ঘুমোতে দিন। হুটহাট করে তাকে জাগিয়ে তুলবেন না। কোন প্রয়োজন নেই সেটির।
তিনি একজন মানুষ, ভঙ্গুর কাঁচের মতো ব্যবহার করার দরকার নেই তার সাথে
অনেক সময় গর্ভবতী নারীরা তার স্বামী কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠেন যে, 'আমি কোন রাজকন্যা নই। আমাকে আমার মতন থাকতে দাও দয়া করে'। যদি আপনি চান যে তিনি নীরব ও চুপচাপ থাকুন, তবে তাকে মেনে চলুন। 
অলসতা করা
হ্যাঁ, গর্ভবতী নারীরা অলস হয়েই থাকেন। কারণ তিনি আপনারই সন্তান বহন করছেন। সুতরাং তাকে বিচার দেওয়ার আগে কিংবা ভুল বোঝার আগে তার পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করুন আগে। 
অভিযোগ করবেন না
কোনরকম অভিযোগ করার দরকার নেই তার বিরুদ্ধে। বরং তিনি যে বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ করেন, সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করুন। আপনি ঠকবেন না। 
পরিশেষে, তাকে ভালোবাসুন। তিনি আপনার অনাগত সন্তান বহন করছেন অপরিসীম কষ্ট সহ্য করে, সেটি মাথায় রাখুন। 
শুভকামনা সকল হবু মায়েদের। 
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট 
Read more ...

Aug 2, 2017

বাকী হিসাব রাখুন এখন আপনার লেপটপ কম্পিউটারে সম্পূর্ন নতুন।(বাকী খাতা)

সবার প্রথমে আমার সালাম রইলো। অনেক দিন পরে আবার আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম নতুন একটা সফটওয়্যার নিয়ে। সফটওয়ার টা আমার নিজের তৈরী করা,বললে ভুল হবে আমার তৈরী কিন্তু অনেক জায়গায় আমার সমস্যা হয়েছে।আর আমাকে সাহায্য করেছেন আমার শ্রদ্ধীয় বড় ভাই (হারুন-আর রশিদ) তিনি আমাকে সাহয্য না করলে হয়তো আমি আপনাদের কে এত সুন্দর একটা সফটওয়্যার উপহার দিতে পারতাম না।

আপনার কম্পিউটারে যা কিছু থাকার লাগবে:

  • মাইক্রোসফট অফিস - ২০১০ (৩২ বিট)- ৬৪বিট ও চলবে। ইনস্টল থাকতে হবে।
  • পাসওয়ার্ড = 1234


















হিসাবরক্ষন হচ্ছে একটি তথ্য সরবরাহকারী পদ্ধতি যার দ্বারা ব্যবসার ভবিষ্যতের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যায়। হিসাবরক্ষনের সাহায্যে আমরা প্রথমতঃব্যবসার লেনদেন সংরক্ষন করতে পারি। দ্বিতীয়ত,আর্থিক লেনদেনের প্রকৃতি অনুসারে ভাগ করে সাময়িক ফলাফল জানতে পারি এবং এর সমষ্টি নির্ণয় করা যায়।তৃতীয়ত,হিসাবরক্ষনের তথ্য থেকে ব্যবসার লাভ ক্ষতি হিসাব ও উদ্বৃত্ত  প্রতুত করতে পারবেন।
একজন ব্যবসায় উদ্যোক্তা বিভিন্ন পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষন করতে পারেন। তিনি প্রতিদিন,সাপ্তাহিক,মাসিক বিভিন্ন সময় কালের আর্থিক তথ্যের হিসাব রাখতে পারেন। যে পদ্ধতিতে হিসাব রাখা হোক না কেন বৎসর শেষে লাভ ক্ষতি হিসাব ও বৎসারান্তে উদ্ধৃত্ত তৈরী করা হয়।
বুককিপিং একটি সামাজিক শাস্ত্র। প্রতিদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন সংঘটিত হয়ে থাকে। এ লেনদেন সংরক্ষন করা না হলে ব্যবসার লাভ ক্ষতি হিসাব ও আথির্ক অবস্থা জানা যায় না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সামাজিক চাহিদা পুরনের জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্য সামগ্রী ক্রয়বিক্রয় করতে হয় বিধায় বিভিন্ন কাজে অর্থ খরচ করতে হয়।
বর্তমান জগতে ব্যক্তিগত,পারিবারিক কর্মকান্ড সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য হিসাবরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্টানে একটি নিদ্দির্ষ্ট সময়ের মধ্যে নানা ধরনের আর্থিক লেনদেন সংঘটিত হয়। এ লেনদেন সমুহকে সুষ্ঠভাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করার কাজই হলো বুককিপিং।

এই সফটওয়্যার টা তে কি কি হবে?










এই সফটওয়্যার টা আপনি আপনার ব্যবসার টাকা লেনদেনের হিসাব মানে জমা খরচের হিসাব খুব সহজেই রাখতে পারবেন।আপনার সব বাকীর হিসাব রাখুন খুব সহজেই আপনি ডাউনলোড করে একবার ব্যবহার করে দেখুন কত মজার এই সফটওয়্যার টা।
  • ১.হাজার হাজার ক্রেতা নাম এন্ট্রি দিতে পারবেন।
  • ২.জমা - খরচ - অবশিষ্ট
  • ৩.মোট কত বাকী দেখতে পারবেন।
  •  বছরের হিসাব।
  •  মাসের হিসাব।
  •  দিনের হিসাব।
  •  দিন হতে দিনের হিসাব।

ডাউনলোড লিংক:- বাকী খাতা

Read more ...

Aug 1, 2017

একটি আইডিয়া যেভাবে আপনার সম্পূর্ণ জীবন পরিবর্তন করতে পারে

একটি আইডিয়া থেকেই হতে পারে অনেককিছু। প্রতীকী ছবি।
অনেকেই বলে থাকেন, ‘আমি আমার জীবনকে কীভাবে পরিবর্তন করতে পারি?’ এই প্রতিবেদনটি এর উত্তর দিয়ে দিবে। হ্যাঁ, উত্তর হলো, একটিমাত্র আইডিয়া আপনার জীবনকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে দিতে পারে। কীভাবে? জেনে নিন কিছু বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে।
আমরা যখন কোনো সমস্যায় পড়ি তখন সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য ভাবতে থাকি কীভাবে এর সমাধান করা যায়। তখন অনেক আইডিয়া আমাদের মাথায় আসে। কিন্তু কাজে আসে একটি মাত্র আইডিয়া। তবে হ্যাঁ, আমাদের সবসময় সমাধান খোঁজার মানসিকতার পরিবর্তে সমস্যা সমাধানের মানসিকতা রাখা উচিত।
আমরা সারাদিনে অনেক আইডিয়া হয়ত জেনারেট করি বাট এর মাঝ থেকেই ছোট্ট একটা আইডিয়াই কিন্তু আমাদের পুরো পৃথিবীটাকেই পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমাদের জীবনটাকে পরিবর্তন করতে পারে। ছোট্ট একটি উদাহরণে বোঝানো যেতে পারে। নিউটনের কথাই ধরুন। একটা আপেল যখন তার সামনে গাছ থেকে মাটিতে পড়লো তখনই তার মাথায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আইডিয়াটি এলো এবং এরপরই ক্ল্যাসিকাল ফিজিক্সের যুগের শুরু হলো। ঠিক এর মতো একবিংশ এই শতাব্দীতে একটিমাত্র আইডিয়া থেকে জীবন পরিবর্তনের অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চারপাশে আছে যেগুলো প্রতিনিয়তই আমাদের লাইফস্টাইলকে পরিবর্তন করছে।
ব্যর্থ আইডিয়াগুলোও কখনও মূল্যহীন হয় না। প্রতীকী ছবি।
ব্যর্থ আইডিয়া
আমরা নিশ্চয়ই থমাস এডিসনের বাল্ব উদ্ভাবনের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা জানি। তিনি একটি বাল্ব তৈরির জন্য ১০০০ বার চেষ্টা করে গেছেন। অর্থাৎ একটা বাল্ব তৈরি করতে তার ১০০০ আইডিয়া ছিল এবং তা করতে গিয়ে তিনি বিন্দুমাত্রও বিচলিত হননি। কেননা তিনি হয়ত জানতেন যে, এই ১০০০ আইডিয়ার মাঝে একটি আইডিয়া অবশ্যই কাজ করবে এবং তা করেছেও। আর ঐ একটা আইডিয়াই আমাদের ঘরে আলো জ্বালিয়েছে, রাতের অন্ধকার দূর করেছে। তাই বলে বাকি ৯৯৯ আইডিয়া আমাদের কাছে কোনোভাবেই মূল্যহীন নয়। এ প্রসঙ্গে থমাস এডিসন বলেন, ‘আমি ব্যর্থ হইনি, আমি শুধু ১০০০ উপায় বের করেছি যেগুলোর একটি কাজ করে ও বাকিগুলো কাজ করে না’।
বন্ধুত্ব করার আইডিয়া থেকেই ফেসবুকের সৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত।
ফেসবুক
মানুষকে জানার তাগিদে এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব করার উদ্দেশ্যেই ফেসবুকের সৃষ্টি। হ্যাঁ, এটা উদ্ভট একটা আইডিয়া হতে পারে। কোথাও না গিয়ে শুধু ঘরে বসে ল্যাপটপের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো কোণের মানুষকে বন্ধু বানানো পাগলাটে চিন্তা বলতে পারেন। কিন্তু এই উদ্ভট আইডিয়াই আজ আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করেছে। আমাদের এখন এক মুহূর্তও ফেসবুক ছাড়া চলে না।
জানতে চাইলে গুগলকে প্রশ্ন করি। ছবি: সংগৃহীত।
গুগল
১৯৯৮ সালে ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন নামে দুজন পিএইচডি স্টুডেন্ট গুগলের উদ্ভাবন করেন। এটা আমরা সবাই জানি যে, গুগল মূলত সার্চ ইঞ্জিন এবং এর মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো বিষয়ে সার্চ করে জানতে পারি। বর্তমানে গুগল আমাদের কাছে টিচারের মতো। যেকোনো বিষয়ে জানতে হলে আমরা গুগলকে প্রশ্ন করি। এটাও একটি মাত্র আইডিয়া থেকেই সৃষ্টি এবং এটাও আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করেছে।
সামান্য ছবি শেয়ারের অ্যাপ থেকেই ইনস্টাগ্রামের সৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত
ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রাম ২০০৯ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুজন স্টুডেন্ট মাইক ক্রিগার ও কেভিন সিসট্রোম উদ্ভাবন করেন। এটিও মূলত একটি আইডিয়া থেকেই উদ্ভূত। একদিন কেভিন ফটো শেয়ারিং অ্যাপ এর একটা আইডিয়া নিয়ে আসেন এবং মাইকের সাথে আলোচনা করে তা বানিয়ে ফেলেন। চিন্তা করে দেখুন, একটিমাত্র অ্যাপ আইডিয়া যা শুধু ছবি শেয়ার করবে আর কিছুই না। প্রথম প্রথম এটাকে পাগলাটে আইডিয়া ছাড়া কিছুই ভাবা হতো না। অথচ আজ এটা ছাড়া আমরা কিছুই ভাবতে পারি না।
মজা কিংবা পড়াশোনায় ইউটিউবের জুড়ি নেই। ছবি: সংগৃহীত 
ইউটিউব
ইউটিউব এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে যে কেউ যেকোনো বিষয়ের উপরে যেকোনো ভিডিও শেয়ার এবং একইসাথে দেখতে পারবে। আপনি মজা নেয়ার জন্যও এটা ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে অনেকে এটার মাধ্যমে পড়াশোনাও করতে পারে। আর আপনি যদি একটা সুন্দর কণ্ঠের অধিকারী, রান্নার গুণের অধিকারী, মেকআপ দক্ষতার অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে এখান থেকে খুব সহজে আয়ও করতে পারেন। এটাও নিশ্চয়ই আমাদের জীবন পরিবর্তনে সহায়তা করছে এবং এটাও একটামাত্র আইডিয়া থেকেই এসেছে।
হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল পিকচারও দেওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
হোয়াটসঅ্যাপ
জান কউম যখন ফেসবুকে চাকরি পেলেন না তখনই ২০০৮ সালে হোয়াটসঅ্যাপ আবিষ্কার করেন। মেসেজিং অ্যাপ হয়ত অনেক আছে কিন্তু এটার গ্রুপ চ্যাটটি বিশেষ একটি ফিচারের। আপনি চাইলে এখানে প্রোফাইল পিকচারও দিতে পারেন এবং স্ট্যাটাসও দিতে পারেন। প্রিয় পাঠক, এই হোয়াটসঅ্যাপও কিন্তু একটি আইডিয়া থেকে জেনারেট করা হয়েছিল। 
এছাড়াও রয়েছে কার বুকিং অ্যাপ ক্যারিম, টেড টকস, অ্যামাজন ইত্যাদি। এগুলো একটিমাত্র আইডিয়া থেকেই উদ্ভাবিত এবং আমাদের জীবনকে অনবরত পরিবর্তন করে চলছে।
ব্যর্থ আইডিয়ার মাঝে সফল আইডিয়াকে খুঁজে বের করুন যা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দিবে। প্রতীকী ছবি।
সুতরাং আপনি যদি ফেসবুক, টুইটার, অ্যামাজন, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির এসব পাগলাটে আইডিয়ার ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই নিজের আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে দেন। আপনার হয়ত কোনো সমস্যা সমাধানের খুব সাধারণ একটা আইডিয়া আছে। সেটা নিয়েই কাজ শুরু করে দেন। বলা যায় না, এই ছোট্ট এবং সাধারণ আইডিয়া থেকেই অদ্ভুত কিছু হতে পারে। তবে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, অন্য সবার আইডিয়া স্টাডি করে নতুন কিছু শিখতে পারেন কিন্তু তা কপি বা চুরি করতে যাবেন না। কেননা আপনি যদি আইডিয়া চুরি করে গুগল তৈরি করতে যান এটা খুব বড়জোর ফায়ারফক্স বা অপেরা হবে। আবার আপনি যদি ইউটিউব বানাতে যান এটাও খুব বড়জোর ডেইলিমোশন হবে। সুতরাং এটা নিশ্চিত হোন যে আপনি আপনার আইডিয়াতে অদ্বিতীয় এবং পরিশ্রমে অভিন্ন। কেবল তখনই আপনি আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
সূত্র: বর্নরিয়ালিস্ট
Read more ...

Jul 30, 2017

মাথার চুল ফেলে দিলে কী চুল ঘন হয়ে গজায়?

চুল ফেলে দেয়া চুল ঘন করতে বা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারেনা। ছবি: সংগৃহীত।
ছোট শিশুরা যখন মাথার চুল ফেলতে চায় না তখন বাবা-মা বলে যে, তোমার চুল এখন ফেলে দিয়ে ন্যাড়া হলে আরো ঘন হয়ে চুল গজাবে। চুল ফেলে দেয়ার কয়েকদিন পর মাথায় যখন নতুন চুল গজাতে শুরু করে তখন মনে হয় যেন সত্যিই আগের চেয়ে ঘন মনে হচ্ছে চুলগুলো! তাহলে কী চুল ফেলে দেয়ার জন্যই এমনটা হয়? চলুন তাহলে একজন ট্রাইকোলজিস্ট এর কাছ থেকেই সত্যিটা জেনে আসি।
আসলে চুলের বৃদ্ধির জন্য আপনি যদি চুল কামিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার এই প্রচেষ্টা বিফলে যাবে। চুলের বৃদ্ধি নির্ণীত হয় জেনেটিকভাবে। তাই চুল ফেলে দেয়া চুল ঘন করতে বা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারে না। 
চুল কামিয়ে ফেললে চুলের ফলিকলের ব্যাস বৃদ্ধি পায় না এবং আপনি যে চুলগুলো  হারিয়েছেন তা পুনরায় ফিরে আসে না। হেয়ার ফলিকল ত্বকের গভীরে প্রোথিত থাকে। তাই চুল ফেলে দেয়া ফলিকলের উপর কোন প্রভাব ফেলে না।  
মাথার চুল ফেলে দিলে আসলে কী হয়?  
চুল ফেলে দেয়ার পর যখন নতুন চুল গজায় তখন তা ঘন হয়ে ওঠে বলে মনে হওয়া একটা ভ্রম। নতুন চুল গজানোর সময় মাথার ছোট ছোট চুলগুলোকে অনেকবেশি দেখা যায় কারণ চুলের আগা তখন ভোঁতা থাকে। ফলে তখন চুলকে ঘন মনে হয় কিন্তু আসলে ঘন হয়না। এছাড়া নতুন চুল স্বাস্থ্যবান থাকে এবং কোন রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট বা  দৈনন্দিন জীবনের ধকলের সংস্পর্শে আসেনি বলে চুলের ক্ষতি হয় না। একারণেই নতুন চুল গজানোর সময় চুলকে ঘন মনে হয়।
যদিও নিয়মিত চুলের আগা কাটলে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়, কারণ এতে  চুল স্বাস্থ্যবান দেখায়। যদি আপনার মাথায় খুশকি থাকে তাহলে চুল ফেলে দিলে মাথার তালু পরিষ্কার হতে সাহায্য করবে।       
পরিশেষে বলা যায় যে, যদি আপানার চুলের বৃদ্ধি ঠিকভাবে না হয় তাহলে একজন ডারমাটোলজিস্ট বা একজন ডায়েটেশিয়ান এর পরামর্শ নিতে পারেন। চুলের সমস্যা মারাত্মক কোন স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
সূত্র: দ্যা হেলথ সাইট 
Read more ...