আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jul 12, 2014

ইন্টারভিউয়ের সময় যে দক্ষতা জরুরী

 ইন্টারভিউয়ের সময় যে দক্ষতা জরুরী
বেকারদের জন্য চাকরি যেন সোনার হরিণ। আর সেই হরিণের সন্ধানে তারা সর্বদাই তৎপর। তবে শত তৎপরতার পর চাকরির সন্ধান পেলেও অনেকেই বিপত্তিতে পড়েন ইন্টারভিউয়ের সময়।

আর এ জন্য প্রয়োজন ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্ট যা সফট স্কিল নামেও পরিচিত। এগুলো এমন গুণ যার প্রতি আকর্ষিত হবেন প্রশ্নকর্তারা। সার্টিফাইড বিজনেস লরিয়েট (সিবিএল)-এর কিছু পরীক্ষা এবং পদ্ধতির কথা জানায় হায়ার নেক্স। তারা এখানে তুলে ধরেছে ইন্টারভিউয়ের জন্য
কার্যকর পাঁচটি সফট স্কিলের কথা।
কাজের দক্ষতা : যেকোন চাকরির ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠানের আদর্শের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে
হবে। 
আর ইন্টারভিউতে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জন করা কতটা জরুরি তার চিন্তা আপনার
মস্তিষ্কে 
ছড়িয়ে দিন। ব্যাখ্যা দিন এ লক্ষ্য পূরণে আপনি কতদূর যেতে প্রস্তুত। চটপট দুই একটা উদাহরণ
দিন 
আপনি অতীতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে সফল হতে কী ধরনের আদর্শ মেনে চলুন।
সহকর্মীদের বিষয়ে ইতিবাচক ধারনা : যেকোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে 
সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সহায়তা পাওয়া যায়। 
আর ইন্টারভিউয়ে সহকর্মীদের বিষয়ে আপনি নৈতিকভাবে কতটা ইতিবাচক তার ইঙ্গিত দিন। তা
ছাড়া কর্মচঞ্চলতা প্রকাশ পাবে আপনার কিছু আচরণে। যেমন- হ্যান্ডশেক করার সময় আত্মবিশ্বাসী
হাসি 
দিন। জবাব দেওয়ার সময় প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি ইতিবাচক কথা বলুন বা আচরণ প্রকাশ 
করুন।
দক্ষ যোগাযোগ : যেকোন কাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দক্ষ যোগাযোগ। এ বিষয়ে
দক্ষতা 
দেখানোর দারুণ ক্ষেত্র ইন্টারভিউ। তাই প্রশ্নকর্তাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রদর্শন করতে বাসায়
চর্চা 
করুন। যেকোনো কথা বা আচরণের ক্ষেত্রে আপনার প্রাসঙ্গিক প্রতিক্রিয়াই মূলত তাদের সঙ্গে 
যোগাযোগ গড়ে তুলবে।
সময়ের সাথে তাল মিলানো : সব প্রতিষ্ঠানই এ বিষয়ে নিখুঁত প্রার্থী চান। বিশেষ করে যারা
নতুন 
চাকরির বাজারে প্রবেশ করছেন তারা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কীভাবে কাজ করবেন তা জানাটা 
কর্তৃপক্ষের জন্য জরুরি। এই কাজের বিষয়ে সময় আপনার কাছে কেমন গুরুত্ব রাখে তা ব্যাখ্যা
করতে 
আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে আসুন।
আত্মবিশ্বাস : নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা প্রত্যেক মানুষের জন্য অপরিহার্য। কারণ
আত্মবিশ্বাস 
ছাড়া কোন কাজে সফলতা পাওয়া যায় না। ইন্টারভিউয়ে পোশাক নির্বাচন থেকে শুরু করে
প্রশ্নকর্তাদের
সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার মধ্য দিয়ে আপনি আত্মবিশ্বাসের জানান দিতে পারেন। নিজের অভিজ্ঞতা
বলার 
সময়ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায়। যদি সত্যিকার অর্থে আত্মবিশ্বাসী না হন, তবে বাড়িতে
আত্মবিশ্বাসী 
দেখায় এমন অভিনয় চর্চা করে নিন। আত্মবিশ্বাসী না দেখালে আপনার ওপর ভরসা পাবেন না 
প্রশ্নকর্তারা।

No comments :

Post a Comment