আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

May 16, 2014

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের ভারতে পাচার

ভারতীয় নাগরিকসহ গ্রেফতার ৮

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের ভারতে পাচার


১৬ মে ২০১৪, শুক্রবার, ১১:২৬
ভারতে মানবপাচারের অভিযোগে এক ভারতীয় নাগরিকসহ আটজনকে গ্রেফতার করে ডিবি : নয়া দিগন্ত
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে সুন্দরী তরুণীদের ভারতে পাচার করছে একটি চক্র। তারা মেয়েদের ফুসলিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। তারপর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তরুণীদের ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করছে এ চক্রটি। ভারতে মানবপাচারের অভিযোগে এ চক্রের ভারতীয় এক নাগরিকসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আবদুল মজিদ (৩০), মনিকা (২১), চঞ্চলা রানী (৩৮), আরিফুল ইসলাম (২৬), নবী হোসেন (৪০), আনোয়ার হোসেন (৩০), শ্রী গোপাল মণ্ডল (৫৬) ও ভারতীয় নাগরিক শ্রী নিখিল দাস (৪৫)। এ সময় পাচারের শিকার হতে যাওয়া আমেনা, শান্তা ও রুনা নামে তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার বিকেলে যাত্রাবাড়ী মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার ও তরুণীদের উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশের এসি মাহমুদ নাসের জনির নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল। 
গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। 
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। ভারতের উত্তর  চব্বিশ পরগনা জেলার বনডগা থানার বাসিন্দা নিখিলের সহযোগিতায় তারা বাংলাদেশ থেকে কম বয়সী মেয়েদের উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচার করে আসছিল। 
মনিরুল ইসলাম বলেন, আসামিদের মধ্যে নিখিলের পূর্বপরিচিত চঞ্চলা রানী ও গোপাল মণ্ডল। তারা নারী পাচারকারী চক্রের মূল বাংলাদেশী এজেন্ট। নিখিলকে মেয়ে সংগ্রহ করে দিতে অন্যদের নিয়োজিত করে এ দু’জন। মজিদ, হানিফ, আরিফুল, নবী ও আনোয়ার দোকানদারি ও গার্মেন্ট পেশার আড়ালে মূলত কম বয়সী সুন্দরী মেয়েদের ফুসলিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা নিয়ে আসে। পরে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী হায়দার ও নাজিমের মাধ্যমে নিখিলের হাতে তুলে দেয়। বিনিময়ে তার থেকে ৭০ হাজার টাকা করে নেয়া হয়। 
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা তিন-চার বছর ধরে ২০ থেকে ২৫ জন তরুণীকে ভারতে পাচার করেছে। গ্রামাঞ্চলের গরিব ও সুন্দরী কম বয়সী মেয়েরা তাদের প্রধান টার্গেট। আসামিদের থেকে তথ্য নিয়ে পাচার হওয়া তরুণীদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পাচারের শিকার হতে যাওয়া রুনা বেগম জানিয়েছে, ২০-২২ দিন গুলশান লেডিস পার্কের সামনে চা-দোকানদার আব্দুল মজিদ তাকে ভারতে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেয়। এ জন্য রুনাকে সে আরো কয়েকটি মেয়ে জোগাড় করে দিতে হবে বলে শর্ত দেয়। রুনা তার পরিচিত আমেনা ও শান্তাকে ভারতে যেতে রাজি করায়। এরপর মজিদের কথা মতো তারা গত বুধবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীর মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জড়ো হয়। 
গোয়েন্দা পুলিশের এসি মাহমুদ নাসের জনি বলেন, কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গ্রেফতারকৃতরা কয়েকজন যুবতীকে নিয়ে অপো করছিল। এ সময় পাচারের উদ্দেশ্যে আনা যুবতীরা তাদের কাছে চাকরি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। এ ছাড়া ভারতে যেতে পাসপোর্ট লাগবে না বলায় তাদের সন্দেহ হয়। এতে তারা ভারতে যেতে অস্বীকৃতি জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাচারকারীদের আটক করে পুলিশ। 
তিনি বলেন, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

No comments :

Post a Comment