আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jun 11, 2014

পাবিপ্রবিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ : আহত ৫

পাবিপ্রবিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ : আহত ৫

 পাবিপ্রবিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ : আহত ৫
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়ে তা ত্রিমুখী সংঘর্ষে রুপ নেয়।

আহতদের নামপরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে, ক্যাম্পাসের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ সমর্থিত সেলিমকে সভাপতি ও রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক করে গত ৪ জুন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তুর্য গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাদ পড়েন। কমিটি থেকে বাদ পড়ার তুর্য পক্ষ সকাল ১০টায় সেলিম গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। জবাবে দুপুর ১২ টায় সেলিম গ্রুপের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তুর্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে প্রায় অধাঘণ্টাব্যাপী ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।

এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদলের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তাদের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

খবর পেয়ে পাবনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সবুজ জানান, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ। ছাত্রদল নিজেদের দ্বন্দ্বে বহিরাগতদের এনে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তারা তা প্রতিহত করেছে মাত্র।

জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা জানান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ভোটের মাধ্যমে পাবিপ্রবি’র কমিটি গঠন হয়েছে। এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার কোন সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. হাবিবুল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যেকোন ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করা হবে।

সদর থানার (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

No comments :

Post a Comment