আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jul 12, 2014

রমজানে শরীরচর্চা

 রমজানে শরীরচর্চা
পবিত্র মাহে রমজানে ধর্মপ্রান মুসল্লিরা অল্লাহর সান্নিধ্যের জন্য রোজা রাখেন।অনেকে অসুস্থতা সত্ত্বেও রোজা পালন করে থাকেন। এছাড়া অনেক সুস্থ ধর্মপ্রাণ মুসলমান রোজা পালনকালে অনেক সময় অসুস্থবোধ করেন।তাই রমজানে রোজাদাররা কিছু বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে পারলে রোজা রেখেও সুস্থ থাকা সম্ভব।

১. সারাদিন রোজা রাখার পর বেশী পরিমাণে ইফতার করা ঠিক যেমন স্বাস্থ্যকর নয় তেমনি ইফতারের পরে রাতের খাবারও হালকা হওয়া 
চাই। ভাজা-পোড়া খাবার পরিহার অপরিহার্য।রমজান মাসের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সংযমী হওয়া। 
তাই খাবারে সংযমী হওয়া উচিৎ।
২.যাদের দৈনিক ব্যায়ামের অভ্যাস আছে তাদের হঠাৎ রমজানে ব্যায়াম ছেড়ে দেয়া উচিত না। 
অন্ততপক্ষে ২০-৩০ মিনিট হাটার অভ্যাস থাকা ভাল। তবে এর চেয়ে বেশী পরিশ্রম করলে শরীরের 
উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে বিধায় অধিক ব্যয়াম পরিহার করতে হবে।
৩. ডায়াবেটিস রোগীরা যাদের নিয়মিত হাঁটতে হয় বা শরীরচর্চা করতে হয়; তাদের রোজা থেকে 
সকালে ও বিকালে হাঁটা বা ব্যায়াম করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে হাঁটা-চলার সময় অনেক ক্ষেত্রে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তের সুগার কমে যেতে পারে। তাই রোজা থেকে সকালে বা বিকালে ব্যায়াম না 
করা ভালো।
৪. ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রমজান মাস ধূমপান ছাড়ার অন্যতম সময়।তবে ইফতারের পর 
যদি কেউ ধূমপান করে তবে শরীরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সে এই 
সুযোগে পরিহার করতে পারেন।
৫. শরীরে পানিস্বল্পতা দূর করতে ইফতারের পর প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় 
যেমন: কফি, চা, চকলেট, সোডা এবং পান থেকে বিরত থাকুন।কারণ এ জাতীয় খাবার প্রস্রাবের সঙ্গে 
শরীরের লবণ বের করে দেয়।রোজা থাকলে সারাদিন শরীরের জন্য ওই লবণ খুবই প্রয়োজনীয়।

No comments :

Post a Comment