আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jul 2, 2014

মৃত্যুপুরী সর্পদ্বীপ! বিশ্বকাপের দেশ ব্রাজিলের এক বিস্ময়..


 মৃত্যুপুরী সর্পদ্বীপ! বিশ্বকাপের দেশ ব্রাজিলের এক বিস্ময়...
দ্বীপটির নাম “ইলহা দ্যা কুইমাডা গ্রান্ডে” যার বাংলা অর্থ “কর্তন এবং জ্বলন্ত আগুনের দ্বীপ”। স্থানীয়রা চেয়েছিল দ্বীপটিকে কলা চাষের যোগ্য একটি দ্বীপ বানাতে। এক সময় দ্বীপটি হয়ে উঠে পাখি এবং সাপের আশ্রয়স্থল। কিন্তু পাখিরাও বেশিদিন বাঁচতে পারেনি বিষাক্ত এই সাপের বিষকে উপেক্ষা করে। মাথাটা দেখতে অনেকটা বর্শার মত আর দেহের রঙ সোনালী বলে দুনিয়ার অন্যতম বিষাক্ত এই সাপটির নাম দেয়া হয়েছে “ল্যান্সহেড গোল্ডেন ভাইপার”।


ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটি ৪০০০ এর মত বিষাক্ত সব সাপের আশ্রয়স্থল। আয়তনে খুব একটা বড় নয় দ্বীপটি; মাত্র ৪৩০ বর্গমিটার জায়গা দখল করে আছে ভয়ংকর এ দ্বীপ। দ্বীপটি এতটাই ভয়ানক যে খোদ ব্রাজিল সরকার দ্বীপটিকে নিষিদ্ধ করেছে পর্যটকদের জন্য। এর আগে বহু মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে এই দ্বীপে ভ্রমণ করতে এসে। একজন মাঝির ক্ষেত্রে ঘটেছিল ভয়ংকর এক ঘটনা। দ্বীপটির কাছে এসে হঠাত করেই তার নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। আশ্রয় নেন সেই মাঝি এই দ্বীপে। খোঁজাখুঁজির পর লোকটিকে পাওয়া যায় রক্তাক্ত অবস্থায়; পাশেই পড়ে আছে তার অতিসাধের নৌকাটি।

এখন আসা যাক বিষাক্ত এই সাপের ক্ষমতার প্রসংগে। উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই সাপ। চিকিৎসা না পেলে এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৭ শতাংশ আর চিকিৎসার পরও একজন মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে যায় ৩ শতাংশ! সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হল এই সাপের বিষের বিষাক্ততায় গলতে শুরু করে শরীরের মাংস। এদের প্রধান খাদ্য পাখি, মাঝে মাঝে গিরগিটিই তাদের খাদ্য। প্রচন্ড ক্ষুধায় নিজের জাতভাইদের খেতেও দ্বিধা করে না এই প্রাণী।


বছরের একটি সময়ে কিছু বিজ্ঞানী যান ওই দ্বীপে নিজেদের গবেষণা কাজ চালানোর জন্য। এছাড়া ব্রাজিলিয়ান নৌবাহিনী মাঝে মাঝে চক্কর দিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এই দ্বীপ। কালোবাজারিরাও নাকি পিছিয়ে নেই এই দ্বীপ ভ্রমণ থেকে। প্রতিটি “লেন্সহ্যাড গোল্ডেন ভাইপার” তারা বিক্রি করে ৩০০০০ ডলারে!

গত ১৫ বছরে ১৫ শতাংশ সাপ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে রোগশোক আর কালোবাজারির কারণে। হাজার হাজার সাপের আশ্রয়স্থল এই দ্বীপ পর্যটকদের ছুটির দিনগুলো কাটানোর জন্য উপযোগী নয় একদমই। জীবনের ঝুঁকি বলে কথা!

No comments :

Post a Comment