আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jul 2, 2014

IELTS এর আদ্যোপান্ত...


 IELTS এর আদ্যোপান্ত...
যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডসহ পৃথিবীর আরও অনেক দেশে কর্মসংস্থান অথবা পড়াশোনার জন্য যেতে হলে আপনার IELTS স্কোর প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে IELTS পরীক্ষা পরিচালনাকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা হচ্ছে IELTS । এখানে পাশ ফেলের কিছুই নেই তবে থাকতে হবে ভালো স্কোর।
আগে শুধু ইউরোপের দেশগুলোতে IELTS স্কোর গ্রহণ করা হতো। তবে এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং কানাডার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় IELTS স্কোর গ্রহণ করে থাকে। যে কেউ এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এর জন্য বয়সের বাধ্যবাধকতা নেই, শিাক্ষাগত যোগ্যতারও কোনো প্রয়োজন নেই।
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
পরীক্ষা পদ্ধতি ৩ ধরণের। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ের শিাক্ষার্থী তারা পরীক্ষা দিতে পারবেন একাডেমিক মডিউলে।
কারিগরি বিষয়ে ভর্তি হতে চাইলে তাকে জেনারেল মডিউলে পরীক্ষা দিতে হবে।

এ ছাড়া যারা ইমিগ্রেশনের জন্য যেতে চান, তাদেরও জেনারেল মডিউলে পরীক্ষা দিতে হবে।

যে যে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে:
IELTS  করতে হলে আপনাকে অংশগ্রহণ করতে হবে রিডিং, লিসেনিং, রাইটিং, স্পিকিং পরীক্ষায়

রিডিং (পাঠ)
এখানে বিভিন্ন জার্নাল, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন থেকে কিছু অংশ তুলে দেয়া থাকে। এক ঘণ্টায় তিনটি বিভাগে ৪০টির মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এখান থেকে পড়ে উত্তর করতে হবে। এখানেও বাক্যপূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি প্রশ্ন থাকবে।

রাইটিং (লিখন)
এখানে এক ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রথম প্রশ্নটিতে অন্তত ১৫০ শব্দের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে বেশি নম্বর থাকে, অন্তত ২৫০টি শব্দ লিখতে হবে। এই শব্দসংখ্যার কম লেখা উচিত হবে না। প্রথম প্রশ্নের সাধারণত কোনো চার্ট বা ডায়াগ্রাম থাকে। আর দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো বিষযয়ের পে মত বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়।

লিসেনিং (শ্রবণ শক্তি)
শুনে বোঝার মতা যাচাই করা হয় এই অংশে। সিডি থেকে শুনে এ অংশে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এখানে চারটি বিভাগে ৪০টির মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। পরীক্ষার সময় বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা, কথোপকথন বা অন্য কোনো বিষয়ে অডিও শোনানো হয়। এখান থেকে শুনেই পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর নির্ধারিত উত্তরপত্রে লিখতে হবে।
পরীক্ষার সময় মাত্র ৩০ মিনিট। শেষে অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় দেয়া হয় সব উত্তর প্রশ্নপত্র থেকে উত্তরপত্রে লেখার জন্য। একটি বিষয় কেবল একবারই শোনানো হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত উত্তর, বাক্যপূরণ ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।
স্পিকিং (কথোপকথন)
এখানে তিনটি অংশে পরীক্ষার্থীদের প্রায় ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এখানে প্রথমত পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়। যেমন: পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, বন্ধু ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষযয়ে এবং দুই মিনিট কথা বলতে হয়।
এর আগে প্রস্তুতির জন্য সময় দেয়া হয় এক মিনিট। তৃতীয় অংশে রয়েছে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষকের সঙ্গে চার-পাঁচ মিনিটের কথোপকথন।
স্কোরিং
১ থেকে ৯ স্কেলে IELTS এর স্কোরিং করা হয়ে থাকে। এ পরীক্ষায় পাস বা ফেল হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আপনার প্রয়োজনীয় স্কোর করতে পারলেই পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্য সফল হবে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত ৬.৫ থেকে ৭.৫ পেতে হয়।

পরীক্ষায় যেভাবে অংশ নিবেন:
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়া যায়।
প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট তারিখে দুই-তিনবার পরীক্ষা দেয়া যায়।
ওয়েবসাইট থেকে অথবা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। পরীক্ষার আসন সংখ্যা সীমিত।
যে তারিখে পরীক্ষা দেবেন, তার অন্তত দেড় মাস আগে নিবন্ধনের জন্য যোগাযোগ করতে হবে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার ফি ১০ হাজার ৩০০ টাকা।
পরীক্ষা দেয়ার জন্য পাসপোর্ট এবং দুই কপি পাসপোর্ট আকারের রঙিন ছবি লাগবে। চশমা পরা ছবি গ্রহণযোগ্য নয়।
IELTS  এর স্কোর এর মেয়াদ দুই বছর। স্কোর আশানুরূপ না হলে পরীক্ষার্থীরা আবার যেকোনো সময় পরীক্ষা দিতে পারবেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেটে পরীক্ষা দেয়া যায়।

No comments :

Post a Comment