জাপান বছরে ২০০০ পরমাণু বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন এক বিশেষজ্ঞ।
আরটি ডটকম ওয়েবসাইটে পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, উত্তর জাপানের রোককাশো পরমাণু জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট চালু করে বছরে ২০০০ পরমাণু বোমা তৈরির মতো পর্যাপ্ত প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করতে পারবে টোকিও। ননপলিফারেশন পলিসি এডুকেশন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক হেনরি সোকোলেস্কি এ তথ্য জানান।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কাণ্ডজ্ঞানহীন এ পদক্ষেপ সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং জাপানের প্রতিবেশী দেশগুলো তড়িঘড়ি পরমাণু প্রতিযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়বে। জাপানের রোককাশো পরমাণু জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট চালু করার বিষয়ে বাঁধা দেয়ার জন্য তিনি মার্কিন সিনেটের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১৩ সালে এ প্লান্ট চালু হওয়ার কথা থাকলেও নতুন নিরাপত্তা বিধির কারণ তা বিলম্বিত হয়েছে। এ পরমাণু স্থাপনা পরিচালনাকারীরা বলেছেন, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এ প্লান্ট চালু হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আই.এ.ই.এ’র হিসাব অনুযায়ী, রোককাশো পরমাণু জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্লান্টে বছরে ৮০০ টন ইউরেনিয়াম বা ৮ টন প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করতে পারবে।
এর আগে, মার্কিন ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে পরমাণু জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বা সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হয় নি। সে ক্ষেত্রে জাপানকে একই কাজ করতে দেয়া হলে তা সিউলের জন্য অবমাননাকর হবে বলে উল্লেখ করেছেন হেনরি সোকোলেস্কি। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া নিশ্চিতভাবেই তখন একই পথ অনুসরণ করবে এবং পরমাণু জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামিতে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জের ধরে জাপান পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ঘাটতির মুখে দেশটির ৪৮টি পরমাণু চুল্লি আবার চালু করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এর আগে, মার্কিন ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে পরমাণু জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বা সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হয় নি। সে ক্ষেত্রে জাপানকে একই কাজ করতে দেয়া হলে তা সিউলের জন্য অবমাননাকর হবে বলে উল্লেখ করেছেন হেনরি সোকোলেস্কি। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া নিশ্চিতভাবেই তখন একই পথ অনুসরণ করবে এবং পরমাণু জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামিতে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জের ধরে জাপান পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ঘাটতির মুখে দেশটির ৪৮টি পরমাণু চুল্লি আবার চালু করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
No comments :
Post a Comment