আসসালামু আলাইকুম

SSC পরিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরিক্ষা দিন এর জন্য আমি দোয়া করছি। সেই সাথে আমার ব্লগে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

Jun 28, 2014

উত্তাপ এখন ‘আসল’ বিশ্বকাপের


গত ১২ জুন সাও পাওলোতে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের ২০তম আসরের উত্তাপের আঁচ লেগেছে তো সেদিনই। তবে এতদিন চলেছে গ্রুপপর্ব যেখানে একবার পা হড়কালেই ঝরে পড়ার শঙ্কা ছিল না। ছিল ভুল শুধরে নেয়ার সুযোগ। প্রথম রাউন্ডে আট গ্রুপের সেরা দু’টি করে মোট ১৬টি দল নিয়ে আজ যে নকআউটপর্ব শুরু হচ্ছে সেখানকার প্রেক্ষাপট পুরোপুরি ভিন্ন। হেরে গেলেই বিদায়, জিতলে পরের রাউন্ড। আসল লড়াই তো শুরু এই পর্বেই। নকআউটপর্বের শুরুটাও হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিলের ম্যাচ দিয়ে, প্রতিপক্ষ এবার চিলি। লাতিন আমেরিকার দুই দেশের লড়াই এরইমধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজনার রেণু।
ফুটবলের তীর্থ ব্রাজিলে বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বও এবার যথেষ্ট চমক দেখিয়েছে। নকআউটপর্বের আগেই দেশে ফিরে গেছে তিন চ্যাম্পিয়ন-ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেন, চারবারের শিরোপাজয়ী ইতালি (টানা দ্বিতীয়বার) ও ১৯৬৬’র চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইতালির ডিফেন্ডার গিওর্গি কিয়েল্লিনিকে কামড় দেয়ার অপরাধে ৯ ম্যাচে বহিষ্কৃত উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজের বিশ্বকাপও শেষ হয়ে গেছে গ্রুপপর্বে। ব্রাজিল উপহার দিয়েছে গোল উৎসবের আসর। মধ্য আমেরিকার মাত্র ৪৬ লাখ জনসংখ্যার কোস্টারিকার উত্থান আর আলজেরিয়ার প্রথমবারের মত দ্বিতীয়পর্বে ওঠার সাক্ষী হয়ে আছে ব্রাজিল। গ্রুপপর্বে এত (১৩৬) গোল বিশ্বকাপে আর কখনো হয়েছে কিনা সন্দেহ। আবার বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের ভাগ্য বদল করে দেয়া ‘সুপার-সাব’দেরও দেখেছে এবারের আসর। তাদেরই একজন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা ১৫তম গোলটি করে স্পর্শ করেছেন বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করা ব্রাজিলের রোনালদোর রেকর্ড। তাই বিশেষণ হিসেবে ‘আসল’ শব্দটা না থাকলেও বিশ্বকাপের এবারের গ্রুপপর্ব স্বপ্নের মায়াঞ্জন এঁকে দিয়েছে কোটি কোটি চোখে।
এশিয়া থেকে একটি দলও গ্রুপের বাধা পেরোতে পারেনি। তবে ইউরোপের ব্যর্থতা আলাদা করে চোখে পড়ার মত। এই অঞ্চল থেকে সর্বাধিক দল অংশ নিয়েছে, অথচ শেষ ষোলতে ইউরোপের দল মাত্র ৬টি। ইউরোপের এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ লাতিন আমেরিকা (কনমেবল) এবং উত্তর ও মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলো নিয়ে গড়া কনকাকাফ অঞ্চলের সাফল্য। স্বাগতিক ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার যে ছয়টি দেশ অংশ নিয়েছে তার পাঁচটিই রয়েছে শেষ ষোলতে। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে রয়েছে তিনটি দল-মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কোস্টারিকা। বাকি দু’টি দল আফ্রিকার-নাইজেরিয়া ও আলজেরিয়া। দেশের মাটিতে ৬৪ বছর পর ফেরা ফুটবলের সর্ববৃহৎ আসরে ষষ্ঠবারের মত শিরোপা জয়ের লক্ষ্য ব্রাজিলের। সেলেসাওদের খেলায় এখনো সেই ‘জোগো বনিতো’ (সুন্দর ফুটবল) চোখে না পড়লেও আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে যৌথভাবে সর্বোচ্চ চার গোল করা নেইমার।
এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এটিকে ধরে নেয়া হয়েছিল ‘ত্রিরতেœর লড়াই’ হিসেবে। নেইমারের সমান চার গোল করে সেটিকে উপজীব্য করে রেখেছেন লিওনেল মেসি। ছিটকে পড়েছেন কেবল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে চার নম্বরে থাকলেও পর্তুগাল যে বিদায় নিয়েছে গ্রুপপর্বেই। আগের দু’টি আসরে ফিফা ব্যালন ডি অর জয়ী রোনালদিনহো (২০০৬) ও লিওনেল মেসি (২০১০) গোলই পাননি। রোনালদো শেষ ম্যাচে তবু একটি গোল করেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপটা যে এত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে তা নিশ্চয় ভাবেননি ২৯ বছর বয়সী পর্তুগিজ অধিনায়ক। ফিকশ্চারটা এমনভাবে তৈরি হয়েছে সবকিছু প্রত্যাশামত এগোলে ১৩ জুলাই মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারেন বার্সেলোনা সতীর্থ মেসি ও নেইমার। গোটা ফুটবল বিশ্বও যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা স্বপ্নের ফাইনালের প্রতীক্ষায় রয়েছে।

আজকের খেলা
ব্রাজিল-চিলি, রাত ১০টা
কলম্বিয়া-উরুগুয়ে, রাত ২টা

No comments :

Post a Comment