সমপ্রতি এ ধরনের একটি র্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের জেদ্দাভিত্তিক সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস (সি.ডব্লিউ.ইউ.আর.) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে তাদের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেশির ভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আটটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বাকি দুটি যুক্তরাজ্যের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং করে থাকে নানা প্রতিষ্ঠান। এ র্যাঙ্কিং করার জন্য তারা নিজেদের নানা মাপকাঠি বিবেচনা করে থাকে। সি.ডব্লিউ.ইউ.আর. এ তালিকা তৈরির জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিষয় বিবেচনা করেছে তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার মান, শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি, শিক্ষকদের যোগ্যতা, প্রকাশনা, গবেষণার প্রভাব, গবেষণার মান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব ও পেটেন্টের সংখ্যা। নতুন এ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড ইউনিভার্সিটি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগেও নানা র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার মান, চাকরির বাজার, প্রভাব ইত্যাদি এক্ষেত্রে বিবেচনা করেই এ অবস্থান পেয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের সেরা ১০টি ইউনিভার্সিটি হলো- ১. হার্ভাড ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ২. স্ট্যানফোড ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ৩. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (যুক্তরাষ্ট্র), ৪. ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ (যুক্তরাজ্য), ৫. ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড (যুক্তরাজ্য), ৬. কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ৭. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি (যুক্তরাষ্ট্র), ৮. ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো (যুক্তরাষ্ট্র), ৯. প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ১০. ইয়েল ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র)। সামপ্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান জ্যামিতিকহারে কমছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক নিয়োগে যেমন দলীয়করণ তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষসহ সবপর্যায়ে উন্মুক্ত দলীয়করণ হচ্ছে। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে দলীয় যোগ্যতাই প্রাধান্য দেয়া হয়। শীর্ষ স্থানীয় পদগুলোতে যারা বসে আছেন তাদের নেই তেমন গবেষণা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পড়ালেখা করেননি। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও এখন গবেষণামূলক পড়ালেখা করে না। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নোট-গাইড পড়েই পরীক্ষায় পাস করে যায়। র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে সব বিষয়েই প্রাধান্য দেয়া হয়। যার কারণে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হচ্ছে না।
Jul 16, 2014
বিশ্বের শীর্ষ এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই ঢাবি
Labels:
শিক্ষা
সমপ্রতি এ ধরনের একটি র্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের জেদ্দাভিত্তিক সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস (সি.ডব্লিউ.ইউ.আর.) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে তাদের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেশির ভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আটটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বাকি দুটি যুক্তরাজ্যের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং করে থাকে নানা প্রতিষ্ঠান। এ র্যাঙ্কিং করার জন্য তারা নিজেদের নানা মাপকাঠি বিবেচনা করে থাকে। সি.ডব্লিউ.ইউ.আর. এ তালিকা তৈরির জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিষয় বিবেচনা করেছে তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার মান, শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি, শিক্ষকদের যোগ্যতা, প্রকাশনা, গবেষণার প্রভাব, গবেষণার মান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব ও পেটেন্টের সংখ্যা। নতুন এ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড ইউনিভার্সিটি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগেও নানা র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার মান, চাকরির বাজার, প্রভাব ইত্যাদি এক্ষেত্রে বিবেচনা করেই এ অবস্থান পেয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের সেরা ১০টি ইউনিভার্সিটি হলো- ১. হার্ভাড ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ২. স্ট্যানফোড ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ৩. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (যুক্তরাষ্ট্র), ৪. ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ (যুক্তরাজ্য), ৫. ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড (যুক্তরাজ্য), ৬. কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ৭. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি (যুক্তরাষ্ট্র), ৮. ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো (যুক্তরাষ্ট্র), ৯. প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ১০. ইয়েল ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র)। সামপ্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান জ্যামিতিকহারে কমছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক নিয়োগে যেমন দলীয়করণ তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষসহ সবপর্যায়ে উন্মুক্ত দলীয়করণ হচ্ছে। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে দলীয় যোগ্যতাই প্রাধান্য দেয়া হয়। শীর্ষ স্থানীয় পদগুলোতে যারা বসে আছেন তাদের নেই তেমন গবেষণা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পড়ালেখা করেননি। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও এখন গবেষণামূলক পড়ালেখা করে না। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নোট-গাইড পড়েই পরীক্ষায় পাস করে যায়। র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে সব বিষয়েই প্রাধান্য দেয়া হয়। যার কারণে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হচ্ছে না।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment