শীতের কনকনে হওয়া বদলে বাতাসে লেগেছে ফাল্গুনের দোলা। রঙিন ফুলের ডালা নিয়ে বসন্ত আমাদের দোরগোড়ায়। ফাল্গুনের প্রথম দিনটিতে বাঙালি মেতে উঠবে বসন্ত উৎসবে। বিশেষ করে এ দিনে সবাই সাজতে চায় বাসন্তী সাজে। এই দিনটিতে কিভাবে সাজবেন সে বিষয়ে জানাচ্ছেন নভীনস অ্যারোমা সেন্টারের বিউটি কনসালট্যান্ট আমিনা হক।
পয়লা ফাল্গুনের সাজে প্রাধান্য থাকে বাসন্তী ও হলুদ রঙের। এর সাথে অন্যান্য রঙকে প্রাধান্য দেয়া হয়। হলুদের বিভিন্ন শেডের পাশাপাশি লাল, সবুজ, কমলা, মেরুন রঙও দেখতে পাওয়া যায়। এ সময়ে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ছাড়াও ফতুয়া পরা যেতে পারে। তবে সব পোশাক আপনার সাথে মানানসই ও রুচিশীল যেন হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন। আর সাজটাও নির্ভর করবে অবশ্যই পোশাকের ওপর।
বসন্ত উৎসব মূলত দিনের বেলাতেই পালন করা হয়। তাই পুরো সাজ হালকা হলেই ভালো হবে। শাড়ি ছাড়া অন্যান্য পোশাকের সাথে হালকা সাজ বেশি মানানসই। শাড়ির সাথে একটু গর্জিয়াস সাজ নেয়া যায়। সাজের শুরুতেই কিনজিং মিল্ক দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এবার ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। ফাউন্ডেশন বা বেজ হবে আপনার ত্বকের সাথে মিলিয়ে। গলা ও কান যেন বাদ না যায়। ভ্রƒর নিচে হলুদ বা ব্রোঞ্জ কালারের শেড ব্যবহার করে চোখের পাতায় মেরুন, নীল, আইভরি, গোল্ডেন বিভিন্ন কালারের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিতে পারেন। আইলাইনারের বদলে নীল বা কালো পেনসিল ওপরের পাতায় টেনে নিন। চোখের কোণে কাজলও দিতে পারেন। ঘন করে মাশকারা লাগান। পিচ, ব্রাউন, গোলাপি ব্লাশান লাগান। কপালে হলুদ বা মেরুন টিপ পরতে পারেন, ইচ্ছে করলে সবুজ ও কালো রঙের টিপও পরতে পারেন। ঠোঁট লাইনার দিয়ে এঁকে নিয়ে গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। লাল, গোলাপি, পিচ, ব্রাউন পরতে পারেন।
গয়নার মধ্যে বেছে নিতে পারেন, মাটির, কাঠের, পুঁতি, পাথরের অথবা ফুলের গয়না। হাতে পরুন চুড়ি। হাত, পা রাঙাতে পারেন আলতা দিয়ে অথবা মেহেদিতে রাঙাতে পারেন। লম্বা চুলে বেণী বা খোঁপা করে নিতে পারেন। খোঁপায় বেণীতে লাগাতে পারেন ফুল বা ফুলের মালা। ছোট চুল ছেড়ে কানের পাশে ফুল দিতে পারেন। অনেকেই ফুলের মালা, ফুলের বিভিন্ন অলঙ্কার পরতে পছন্দ করেন। কারণ বসন্ত উৎসব গাঁদা ফুল ছাড়া কল্পনা করা যায় না। যদিও এখন নানা রকম ফুলের ব্যবহার দেখা যায় কিন্তু ফুল ছাড়া বসন্ত পরিপূর্ণ হয় না। হাতে ফুলের মালা পেঁচিয়ে রাখতে পারেন। তাজা ফুলের ব্যবহার পোশাক ও সাজের সাথে মানানসই যেন হয়।
No comments :
Post a Comment